প্রস্তাবিত বাজেট দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়ক হবেনা বলে মনে করে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স। সংগঠনটি বলছে, সৎ ও নিয়মিত করদাতা প্রতিষ্ঠানের ওপর অতিরিক্ত করের চাপ দেওয়া হয়েছে। এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমতে পারে।
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় তারা জানায়, মূল্যস্ফীতি ও রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যপূরণও কঠিন কবে।
চলতি অর্থবছর সংশোধিত এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। মে পর্যন্ত ১১ মাসে আদায় হয়েছে ৩ লাখ ২১ হাজার কোটি। এমন বাস্তবতায় প্রস্তাবিত বাজেটে এনবিআরকে প্রায় ৫ লাখ কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে সরকার।
বাড়তি রাজস্ব আদায়ে কোম্পানির সর্বনিম্ন টার্নওভার করহার দশমিক ৬ থেকে বাড়িয়ে ১ ভাগ করা হয়েছে। অনলাইন ব্যবসার কমিশনে ভ্যাট ৩ গুণ বাড়িয়ে ১৫ ভাগ করা হয়েছে। বেভারেজসহ বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোসহ নানা উদ্যোগ রয়েছে বাজেটে।
ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি জাভেদ আখতার বলেন, ‘কেন বিদেশি নতুন কোম্পানি বিনিয়োগে আসছে না। আপনিই বলছেন, মৌলিক পরিবর্তনের কথা, আমি সেখানে অপেক্ষা করতে পারি। একজন বিনিয়োগকারী যখন বিনিয়োগ করে তখন সে পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করে।’
ব্যক্তি আয়করের ক্ষেত্রে মাসিক ৭০ হাজারের বেশি বেতনের কর্মীদের ওপর চাপ বেড়েছে বাজেটে। এতে উচ্চ মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি নিট আয় কমায় বেসরকারি খাতে বিরুপ প্রভাব পড়বে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বলেন, সরকার করজাল বাড়াতে গুরুত্ব না দিয়ে, নিয়মিত করদাতাদের ওপর চাপ বাড়িয়েছে। করফাঁকি রোধে রাজস্ব প্রশাসনে অটোমেশনের তাগিদ তাদের।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘৪৫ লাখ রিটার্ন জমা দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ জিরো ট্যাক্স দিয়েছে। ৮৫ শতাংশ মোট ট্যাক্স ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে হয়েছে। তার মানে বুঝা যাচ্ছে ট্যাক্স সংগ্রহে বড় ধরনের ফাঁক রয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১০ শতাংশের কম শেয়ার ছাড়া কোম্পানির করহার সাড়ে ২৭ ভাগে নিয়ে যাওয়া বৈষম্যমূলক নীতি।