ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের দ্রুত সম্প্রসারণকে রাশিয়া উদ্বেগের সঙ্গে দেখছে। ক্রেমলিন স্বীকার করে যে, এই যুদ্ধের ফলাফল তাদের বৈশ্বিক অবস্থানকে নতুনভাবে চেনাতে পারে। ‘ইরান প্রশ্ন’-এর চলমানতা মৌলিকভাবে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। মস্কো যেখানে দীর্ঘদিন ধরে একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা দাবি করে আসছে, সেখানে এর ভবিষ্যৎ প্রভাব অনেক। এটা মস্কোর বৈশ্বিক কৌশলগত স্থিতিশীলতার প্রচেষ্টাকে প্রভাবিত করতে পারে।
দুটি অভিযান কৌশলগত ও সমান্তরাল
এই নতুন যুদ্ধে ব্যবহৃত সামরিক উদ্ভাবনগুলো রাশিয়া নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। রুশ সামরিক ব্লগাররা ইরানের অভ্যন্তরে মোসাদের অভিযানগুলোর ওপর মনোযোগ রাখছেন। বিশেষ করে কীভাবে ইসরায়েল ১৩ জুনের আকস্মিক হামলার প্রথম প্রহরে ইরানি ভূখণ্ডের ভেতর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে আক্রমণকারী ড্রোন নিক্ষেপ করেছিল। রুশ সামরিক ভাষ্যকারেরা ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ড্রোন হামলাকে রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক বোমারু বিমানের ঘাঁটিতে মাত্র দুই সপ্তাহ আগে চালানো ইউক্রেনের ড্রোন হামলার প্রতিধ্বনি হিসেবে দেখছেন। এটা ইউক্রেনের সামরিক উদ্ভাবনীকে ছোট করে দেখার চেষ্টা হতে পারে। তবে এই ভাষ্যকারদের দাবি, ইসরায়েলের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা পরিষেবা (এসবিইউ)-কে সহায়তা করে থাকতে পারে অথবা ইউক্রেনীয়দের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব ইরান অভিযানের মহড়া দিয়ে থাকতে পারে।
এসবিইউর ‘স্পাইডার ওয়েব’ এবং মোসাদের ড্রোন অপারেশনগুলোর মধ্যে সত্যিই কিছু সাধারণ প্রযুক্তিগত এবং কৌশলগত মিল রয়েছে। উভয় সংস্থার ফাঁস হওয়া তথ্য অনুযায়ী, অভিযানগুলো দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার ফসল। এর মধ্যে বিস্ফোরক ড্রোন শত্রুর ভূখণ্ডে পাচার করা, সেগুলোকে একত্রিত ও মোতায়েন করার জন্য শত্রুর এলাকায় একটি গোপন কর্মশালা পরিচালনা করা এবং মূল নিরাপত্তা লক্ষ্যবস্তুতে আকস্মিক, সমন্বিত হামলা চালানোর মতো বিষয়গুলো রয়েছে।
মোসাদ এবং এসবিইউ উভয়ে হামলার পরপরই তাদের কার্যক্রমের ছবিসহ তথ্য প্রকাশ করেছে। ফলে প্রচারমাধ্যমে তারা আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। শত্রুদের মনে তারা সন্দেহ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে যে, ঘটে যাওয়া হামলা কেবল ভবিষ্যতের আরও আক্রমণের সামান্য নমুনা মাত্র। সর্বোপরি, উভয় অভিযান ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে উদ্ভাবন ও সাহসের জন্য ডেভিডের সম্মান দিয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়া ও ইরান বিশাল, ভারী ও সেকেলে গোলিয়াথ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। মুখোমুখি নিজেদের আধুনিক যুগের ডেভিড হিসেবে উপস্থাপন করেছে। আসলে ডেভিড ও গোলিয়াথের গল্পটি খ্রিষ্টানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ বাইবেল থেকে নেওয়া একটি কাহিনি, যা দুর্বলের দ্বারা শক্তিশালীকে পরাস্ত করার একটি রূপক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি শক্তি, বিশ্বাস ও সাহসের প্রতীক।
তবে মোসাদের অপারেশনের প্রযুক্তিগত জটিলতা এসবিইউ-এর চেয়ে কম বলে মনে হয়েছে। ইউক্রেনীয়রা ট্রাকের ভেতরে ড্রোন লুকিয়ে রেখে বহু দূরের পাঁচটি রুশ বিমানঘাঁটির কাছাকাছি নিয়ে যায়।
অন্যদিকে মোসাদ তেহরানের শহরতলীতে একটি ড্রোন ঘাঁটি স্থাপন করে এবং সেখান থেকে সরাসরি বিমান প্রতিরক্ষা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। ড্রোনগুলো ইসরায়েল থেকে দূর নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় নাকি ইরানের অভ্যন্তরে স্থানীয় এজেন্টদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল, তা এখনো অজানা।
ইউক্রেনীয় অপারেশনের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল রাশিয়ার কৌশলগত বোমারু বিমান। কারণ, রাশিয়া এই বিমানগুলো বারবার ব্যবহার করে ইউক্রেনে বোমা হামলা চালায়। এই যুদ্ধবিমানের সাহায্যে পারমাণবিক হামলাও চালান যায়। এ কারণে রুশ সামরিক বাহিনীর জন্য তা অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ। বিপরীতে ইরানি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো ধারাবাহিকভাবে তৈরি হচ্ছে।
ইউক্রেন রাশিয়ার পাঁচটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানার তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে, ইসরায়েল মোসাদের ড্রোনগুলো ইরানে কী কী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে এবং কতটা সফল হয়েছে, তা গোপন রেখেছে। উপরন্তু, নিরপেক্ষ বিশ্লেষকেরা দ্রুত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, ইউক্রেনের হামলার শুধু আংশিক কৌশলগত কার্যকারিতা ছিল, কিন্তু ইসরায়েলি হামলা সম্পর্কে তারা কেবল অনুমানই করতে পারছেন।
ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা তার ড্রোন হামলা অভিযান সম্পর্কে যে সীমিত তথ্য প্রকাশ করেছে, তা তাদের একটি সম্পূর্ণ সাফল্যের ছবি। এই দাবি সত্য হোক বা না হোক–দেশটির ভেতরে ইসরায়েলের এ ধরনের সামরিক অভিযান ইরানের দাবিগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতাকে কমিয়ে দিয়েছে। এটি ইরানের মধ্যে মোসাদের কার্যকলাপ সম্পর্কিত ইরানি আতঙ্ক কমাতেও খুব একটা সাহায্য করে না।
ভিন্ন কৌশলগত প্রভাব
এই দুটি অভিযানের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হলো তাদের বৃহত্তর প্রেক্ষাপট। এসবিইউ-এর গোপন মিশন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই দাবিকে ভুল প্রমাণ করেছে যে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির হাতে ‘কোনো তাস নেই’। তবে এতে যুদ্ধের গতিমুখে কোনো পরিবর্তন হয়নি। এটি রুশ নেতৃত্বকে অস্থিতিশীল করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিপরীতে, মোসাদের ড্রোন হামলা কোনো স্বতন্ত্র ঘটনা নয়। এটি ইসরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর একটি ছোট অংশ মাত্র, যা গোয়েন্দা সংস্থার গোপন কাজ। গত ১৩ জুনের হামলার প্রথম প্রহরে মোসাদের পদক্ষেপ ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর পশ্চিম ইরান এবং তেহরানের ওপর আকাশে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের ভিত্তি স্থাপন করতে সাহায্য করে। এতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের ওপর অবিচ্ছিন্নভাবে ভারী আঘাত হানার সুযোগ তৈরি হয়। এই গোপন অভিযান ইরানের সরকার ও জনগণের জন্য একটি বিরাট ধাক্কা।
এই সমন্বিত অভিযানের মাধ্যমে সাফল্যের যে চিত্র তৈরি হয়েছিল, তা ট্রাম্প প্রশাসনের যুদ্ধে প্রবেশ করার আপাত প্রতিরোধকে কমিয়েছে। এটি ইসরায়েলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অর্জন, যা সংঘাতের শুরুতে তারা পেয়ে গেছে।
সাম্প্রতিক প্রকাশনাগুলো ইঙ্গিত দেয় যে, ইসরায়েলের হামলা করার ক্ষমতা কয়েক দশকের পরিকল্পনা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ফল। এসবিইউ দ্বারা ঘোষিত ১৮ মাসের প্রস্তুতির চেয়ে তা অনেক দীর্ঘ। মোসাদের ড্রোন হামলা কেবল একটি পূর্ব-পরিকল্পিত সামরিক অভিযানকে আরও পরিমার্জিত ও শক্তিশালী করেছে।
মস্কোর পাশে
ইসরায়েল-ইরান সংকটে রাশিয়ার ভূমিকা ইউক্রেনে তার গভীর সম্পৃক্ততা এবং ট্রাম্প প্রশাসনকে পুনরায় জড়িত করার আকাঙ্ক্ষা দ্বারা সীমাবদ্ধ বলে মনে হচ্ছে। এই পরস্পরবিরোধী চাপগুলো ঝুঁকি এবং সুযোগ উভয়ই আনে। তবে ঝুঁকির আশঙ্কা বর্তমানে সম্ভাব্য লাভের চেয়ে বেশি।
গত দশকে রাশিয়া ও ইরান সামরিক সহযোগিতা গভীর করেছে। বিশেষ করে সিরিয়ায়। ট্রাম্প জানুয়ারিতে ক্ষমতায় ফেরার মাত্র কয়েক দিন আগে একটি ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করে তারা। তবে সামরিক সহযোগিতার উল্লেখ থাকলেও সেই চুক্তিতে কোনো পারস্পরিক নিরাপত্তা গ্যারান্টি ছিল না। রাশিয়া ও ইরানের জোট মূলত আমেরিকার প্রতি উভয়ের বিরোধিতার ওপর নির্ভরশীল।
রুশ ভাষ্যকারেরা প্রায়শই মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের জন্য দেশটিকে দোষারোপ করেন। ইসরায়েল ক্রেমলিনের সাথে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার চ্যানেল বজায় রাখা কয়েকটি পশ্চিমা দেশের সারিতেই আছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো–পুতিন-ট্রাম্প সম্পর্ক রাশিয়া-ইরান সম্পর্ককে প্রভাবিত করেছে। ইউক্রেন ইস্যুতে আপস এবং যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জন্য ট্রাম্পের চাপ কমানোর জন্য পুতিন ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কূটনৈতিকভাবে সমাধানের ব্যাপারে আমেরিকাকে সহযোগিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
মস্কো তেহরান ও বেইজিংয়ের সাথে তার কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়িয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েলি হামলার আগের বছরে ইরানের নিরাপত্তা চাহিদা পূরণ থেকে বিরত ছিল। ফলে ইরানের ওপর একটা চাপ রাশিয়া রেখেছিল। তবুও তারা ইরানকে নিজের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করতে রাজি করাতে পারেনি। হয়তো চেষ্টাও করেনি। আমেরিকা ধারাবাহিকভাবে এমনটাই দাবি করে আসছে।
রাশিয়া বর্তমানে ইরানকে সামরিক সহায়তা দিতে পারছে না। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তার কাছে প্রাসঙ্গিক কোনো উদ্বৃত্ত অস্ত্র নেই। তাকে বিবেচনা করতে হবে যে, যেকোনো অস্ত্র সরবরাহ করা হলে তা ইসরায়েল দ্বারা ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমনটি সিরিয়া ও লেবাননে ইরানি ও প্রক্সি লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলের হামলায় প্রমাণিত হয়েছে।
সামরিক সমর্থনের বিকল্প হিসেবে রাশিয়া একটি কূটনৈতিক ভূমিকা গ্রহণ করেছে। তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কঠোর বিবৃতি দিয়েছে। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থায় (আইএইএ) ইরানকে সমর্থন করেছে। ট্রাম্প, নেতানিয়াহু, এরদোয়ান ও মাসুদ পেজেশকিয়ানের সাথে পুতিনসহ অন্যান্য উচ্চ পদাধিকারীরা কথা বলেছেন। পুতিন ভবিষ্যতে মধ্যস্থতার জন্য জায়গা রাখছেন।
যদি ইরানের সামরিক পরাজয় হয় বা দেশটির শাসনব্যবস্থা বদলে যায়–তাহলে দেশটিতে রাশিয়ার দশকের পর দশক ধরে করা বিনিয়োগ একটি বড় ধাক্কা খাবে এবং তা বৃথা যাবে। সিরিয়ার মতো, ইরানের শাসনব্যবস্থার পতন গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোর কাছে একটি কৌশলগত অংশীদার হিসেবে রাশিয়ার নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। ইরানের সাথে মস্কোর উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্পগুলো–যার মধ্যে বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা এবং উত্তর-দক্ষিণ পরিবহন করিডোর অন্তর্ভুক্ত–তাও ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।
তবে রাশিয়া এখনো কিছু সুবিধা পেতে পারে। তেলের দাম বেড়েছে (যদিও এখন পর্যন্ত সামান্য), বৈশ্বিক মনোযোগ মধ্যপ্রাচ্যে স্থানান্তরিত হয়েছে, যা ক্রেমলিনকে ইউক্রেনে তার আক্রমণ তীব্র করতে সাহায্য করছে, সেখানে সামরিক লাভের আশা করছে। আর ইরানের বর্তমান শাসকেরা যদি এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারে, তাহলে তারা টিকে থাকার জন্য রাশিয়ার ওপর আরও নির্ভরশীল হয়ে উঠবে।
কৌশলগত স্থিতিশীলতা
ইউক্রেন ও ইসরায়েলের ড্রোন হামলা রাশিয়া ও ইরানের কৌশলগত সুবিধা ও ক্ষমতার দুর্বলতা তুলে ধরেছে। রাশিয়ার ক্ষেত্রে আক্রমণটি মৌলিক নয়, তবে হতচকিত করার মতো। বোমারু বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের সীমিত ড্রোন হামলার পরিপ্রেক্ষিতে রুশরা এই দুর্বলতা বুঝতে পেরেছিল এবং তা মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে শুরু করে। এসবিইউ অপারেশনের আগে, রুশ বোমারু বিমানগুলোকে ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে আরও দূরে সরানো হয়েছিল।
তবে ইসরায়েলের আক্রমণ দীর্ঘমেয়াদী মূল্যায়নের দাবি রাখে। নতুন বৃহৎ শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতার যুগে, কিছু রাষ্ট্র পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতি আরও আগ্রহী হতে পারে। কিন্তু যদি ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ইরানের পারমাণবিক অগ্রগতি বন্ধ বা ধীর করতে পারে, তাহলে এটি অন্যান্য সম্ভাব্য আগ্রহীদের নিরুৎসাহিত করতে পারে। আবার উল্টো, এই রাষ্ট্রগুলো আরও গভীর ভূগর্ভস্থ, আরও গোপনীয় স্থাপনা তৈরি করতে বাধ্য হতে পারে, যা প্রচলিত আক্রমণের প্রতি কম ঝুঁকিপূর্ণ।
ড্যানিয়েল রাকভ: তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ গবেষক এবং মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়ার নীতি ও এই অঞ্চলের বৃহৎ-শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ।
(বুলেটিন অব দ্য অ্যাটমিক সায়েন্টিস্ট-এ প্রকাশিত এবং ইংরেজি থেকে সংক্ষিপ্তকারে অনুবাদ করা হয়েছে।)