টানা তৃতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রোববার শপথ নেন নরেন্দ্র মোদি। ওইদিন শপথ নেন তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরাও। তবে ওইদিন জানানো হয়নি কে কোন মন্ত্রণালয় পেলেন। আজ সোমবার প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর জানা গেল কে কোন মন্ত্রণালয় পেলেন। তাতে দেখা যায়, প্রধান ৪ মন্ত্রণালয়ে গতবারের চারজনকেই রাখা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে থাকছেন যথারীতি অমিত শাহ। এ ছাড়া প্রতিরক্ষায় রাজনাথ সিং, পররাষ্ট্রে এস জয়শঙ্কর ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন নির্মলা সীতারমন। বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী হয়েছেন।
এর বাইরে মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় সড়ক পরিবহণমন্ত্রীর দায়িত্ব আবারও নিতিন গডকড়ীকে দেওয়া হলো। মোদির দ্বিতীয় দফাতেও তিনি এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলেছেন। মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রণালয় পেয়েছেন। পাশাপাশি গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রণালয়ও রয়েছে তাঁর হাতে।
মোদির আগের মন্ত্রিসভায় রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলান বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অশ্বিনী বৈষ্ণব। এ বারও তাঁকে একই দায়িত্ব দেওয়া হলো। সেই সঙ্গে তাঁর কাছে রয়ে গেল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
মোদির আগের মন্ত্রিসভায় আইনমন্ত্রী ছিলেন কিরেন রিজুজু। নতুন মন্ত্রিসভায় তাঁকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হলো। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী করা হলো তাঁকে। হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর পেলেন বিদ্যুৎ ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রণালয়।
এনডিএ জোটের শরিক হিসেবে বিহারের লোক জনশক্তি দলের (রাম বিলাস) প্রেসিডেন্ট চিরাগ পাসওয়ান পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
দেড় মাসের বেশি সময় ধরে সাত দফায় ভোটগ্রহণের পর গত ৪ জুন ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়। নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় শরিকদের হাত ধরে এবার জোট সরকার গঠন করতে হচ্ছে মোদিকে।
এবারের নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে ২৪০টি আসনে জয় পেয়েছে। আর জোটগতভাবে এনডিএ পেয়েছে ২৯২টি আসন। অন্যদিকে কংগ্রেস এককভাবে পেয়েছে ৯৯টি আসন। আর জোটগতভাবে ইন্ডিয়া পেয়েছে ২৩২টি আসন।