ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। টানা বৃষ্টির কারণে পানিতে তলিয়ে গেছে কলকাতার বিভিন্ন এলাকা। জলাবদ্ধতার কারণে সোমবার মেট্রো চলাচল বন্ধ থাকে ১০ ঘণ্টা।
নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ায় বন্ধ হয়ে পড়েছে শহরের বেশকিছু রাস্তা।
পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রিমালের প্রভাবে মঙ্গলবারও রাজ্যটির বেশকিছু জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি থাকবে। এছাড়া জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুরে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী নিম্নচাপের প্রভাব থাকবে। অনেক জেলায় জারি রয়েছে সতর্কতা।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রিমাল তাণ্ডব চালিয়েছে বাংলাদেশের ১৯ জেলায়। সরকারের দেওয়া তথ্যমতে সোমবার বিকেল পর্যন্ত এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে সাড়ে ৩৬ হাজার ঘরবাড়ি। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের পর উপকূলীয় এলাকায় দেখা দেয় দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি। প্রবল জোয়ারে কোথাও বেড়িবাঁধ ভেঙে, কোথাও পানি উপচে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
বাগেরহাটে দশ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। আংশিক বিধ্বস্ত ৩৫ হাজারের বেশি।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের পর উপকূলীয় এলাকায় দেখা গেছে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি এবং প্রবল জোয়ারে কোথাও বেড়িবাঁধ ভেঙে, কোথাও পানি উপচে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। বিভিন্ন জেলায় বিধ্বস্ত হয়েছে বাড়িঘর, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অনেক এলাকা। এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ে এখন পর্যন্ত ৮ জেলায় ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড়ে পটুয়াখালীতে ৩, সাতক্ষীরায় ১, ভোলায় ৩, চট্টগ্রাম ১, কুমিল্লা ১, বরিশালে ২ এবং খুলনায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।