ঘূর্ণিঝড় রিমাল এর প্রভাবে পিরোজপুরের উপকূল এলাকায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ রোববার সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলেও দুপুরে বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। ফলে জোয়ারের পানিতে নিন্মাঞ্চলে ২ থেকে ৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পায়। উপকূল এলাকার মানুষ আতংকিত থাকলেও সাইক্লোন শেল্টারে তেমন আসতে দেখা যায়নি তাদের। কালিগঙ্গাসহ বিভিন্ন নদীর পানি জোয়ারে দুই থেকে তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপকূল এলাকা মঠবাড়িয়া উপজেলার মাঝেরচর, খেতাচিড়া বড়মাছুয়া, সাপলেজা এবং ইন্দুরকানী উপজেলার সাঈদখালী চর এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও ভান্ডারিয়া ও কাউখালী উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকায় একই অবস্থা বিরাজ করছে। এসব এলাকায় দুই থেকে তিন ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
এসব এলাকার অনেকেই সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়ার প্রস্ততি থাকলেও সাধারণ মানুষ খুব বেশি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়নি। তবে জেলা প্রশাসন উপকূল এলাকার মানুষদের সরিয়ে নিতে চেষ্টা করছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলার ৭টি উপজেলায় ২৯৫ টি সাইক্লোন শেল্টার এবং ২৬৬ টি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তত রাখা হয়েছে। এসব সাইক্লোন শেল্টারে প্রায় ২ লাখের বেশি লোক আশ্রয় নিতে পারবে। ৭ উপজেলায় ৬৫ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও সিপিবির ২৪০০ এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তত রাখা হয়েছে। এসব স্বেচ্ছাসেবকরা উপকূল এলাকায় মাইকিং করাসহ তাদের কার্যক্রম অনেকটাই শুরু করেছে।
তবে নদী পাড়ের মানুষের মাঝে ভয় কাজ করছে টেকসই বেড়ি বাঁধ না থাকায়। জেলায় ৩৩৯ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৪৪ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধ অরক্ষিত রয়েছে। তাই আতঙ্কের মধ্যে আছে মঠবাড়িয়া ভান্ডারিয়া ইন্দুরকানী উপকূল এলাকার মানুষজন। স্থানীয়রা জানিয়েছে উপকূলীয় এলাকায় আশ্রয়ণকেন্দ্র কম। এছাড়া অনেক আশ্রয়কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। সেখানে নেই বিদ্যুৎ ও পানির সুব্যবস্থা।