প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল পূর্ণশক্তি নিয়ে উপকূল অতিক্রম করছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক। এই আবহাওয়াবিদ বলেন, আজ সোমবার বেলা ১০টার পর থেকে দুর্বল হতে শুরু করবে এই ঘূর্ণিঝড়টি।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানার জন্য বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় উইন্ডিডটকম। আজ সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ উইন্ডিডটকমের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ এখনও বাংলাদেশের উপকূলে অবস্থান করছে। ঝড়টির প্রভাব আরও একদিন দেশের ওপর থাকতে পারে। মঙ্গলবার ভোর নাগাদ এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি দেশের সীমানা অতিক্রম করতে পারে।
রোববার দিবাগত মধ্যরাতে এক ব্রিফিংয়ে আবুল কালাম মল্লিক ঘূর্ণিঝড়টি রোববার দিবাগত রাত দেড়টা নাগাদ সর্বোচ্চ ১১১ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে পটুয়াখালীতে আঘাত হানে। এসময় মোংলায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৮০ কিলোমিটার, কয়রা ৮৩ কিলোমিটার, খেপুপাড়া ৯১ কিলোমিটার।
আবহাওয়ার সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (১৭) বলা হয়েছে, এই সময়ে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি এসব বন্দরের আশপাশের উপকূলীয় জেলা ও দ্বীপ-চর সমূহ এই মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে দেখাতে বলা হয়েছে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত। পাশাপাশি এসব বন্দরের আশপাশের উপকূলীয় জেলা ও দ্বীপ-চর সমূহ এই মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থান করা মাছ ধরার নৌকাকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ স্থানে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন:
- প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত রিমাল, পায়রা-মোংলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
- ঘূর্ণিঝড়ের মাস হয়ে উঠছে মে
- বঙ্গোপসাগরে ভয়ংকর যত ঘূর্ণিঝড়
- রাতে ১৩৫ কি.মি. গতিতে আঘাত হানতে পারে রিমাল
- ঘূর্ণিঝড় রিমাল: পায়রা ও মোংলায় ৭ নম্বর বিপদসংকেত
- ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় প্রস্তুত ৪ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র
- ‘সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত আক্রান্ত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে’
- বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত, ১০ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা
- পাউবোর কন্ট্রোল রুম চালু, কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল
- পূর্ণশক্তি নিয়ে উপকূল অতিক্রম করছে ‘রিমাল’, রাজধানীতে বৃষ্টি
- রিমালে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলার ভোট বাতিল